“মানুষ মানবিক হও, ‘মানুষ’ হবার চেষ্টা ছেড়ো না।” — দর্পণ কবীর

দর্পণ কবীরের জন্ম নারায়ণগঞ্জ শহরে। প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়া সম্পন্ন করার পরপরই ১৯৯১ সালের শুরুর দিকে সাংবাদিকতায় সম্পৃক্ত হন। শিশু বয়স থেকে ছড়া-কবিতা লেখার চর্চা শুরু। একসময় সাংবাদিকতার পাশাপাশি তার লেখক পরিচয়টাও মূখ্য হয়ে উঠে। লেখালেখির বিভিন্ন শাখায় ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ে তার শৈল্পিক বিচরণ। সব্যসাচি হাতে ছড়া-কবিতা, গল্প ও উপন্যাস হয়ে ওঠে তার কাছে নৈমত্তিক। এক সময় গান লিখে গীতিকারের পালক জড়িয়েছেন নিজের নামের পাশে। তার প্রথম ছড়ার বই— ‘ধাপস’ বের হয় ১৯৯১ সালে একুশের বইমেলায়। প্রথম কিশোর গল্পগ্রন্থ— ‘ভোরের পাখি’ বের হয় ১৯৯৫ সালে, প্রথম কাব্যগ্রন্থ— ‘কষ্টের ধারাপত’ প্রকাশিত হয়…

Darpan Kabir had become involved in journalism, as early as 1991, as soon as his formal education reached completion. And he quickly became an astute and distinguished journalist. However, he had another passion from the beginning of his childhood, which was poetry, and he quickly achieved read more

১৯৯১ সালে দর্পণ কবীর-এর প্রথম ছড়ার বই বের হয় একুশের বইমেলায়। নাম ছিল-ধপাস। বইটি প্রকাশ করেছিল প্যাপিরাস ...আরও পড়ুন

1991- Darpan Kabir's first rhyme book was published at the Ekushey Bookfair, titled - 'Dhopash' (Thud). Book was ... read more

ইউরো ট্রেনে বাংলাদেশি পাসপোর্ট

মানে ঘোর সন্দেহ!

২০০০ সালের ডিসেম্বর মাসে জার্মানী থেকে ইতালীর মিলানোতে যাচ্ছিলাম ইউরো ট্রেনে। সুইজারল্যান্ডের সীমান্তে একটি স্টেশনে ট্রেনটি ৫ মিনিটের জন্য থামলো। ট্রেনের কামরায় একজন পুলিশ (ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা হতে পারে) কর্মকর্তা কারো দিকে নজর না দিয়ে আমার কাছেই এসে কী যেন বললেন (ভাষা বুঝিনি)। শুধু পাসপোর্ট শব্দ বুঝে নিজের পাসপোর্ট বের করে দিলাম। ঐ কর্মকর্তা আমার পাসপোর্ট নিয়ে কী যেন বলে চলে যেতে লাগলেন। আমি ভয়ে আঁতকে উঠলাম। কারণ, ৫ মিনিট দাঁড়াবে ট্রেন। যদি না ফেরে! বিদেশে পাসপোর্ট হাতছাড়া করতে নেই-এটা জেনে এসেছি। আমি চিৎকার করে বাংলায় গালিও দিলাম। যাত্রীরা আমাদের বাক্যালাপ দেখলো ও শুনলো শুধু। ঐ কর্মকর্তা চলে গেলে আমি টেনশনে ভুগছিলাম। ট্রেন ছাড়ার ১ মিনিট আগে অপর এক কর্মকর্তা এসে আমার পাসপোর্ট ফিরিয়ে দিলে বিনীতভাবে ইংরেজীতে বললেন-যিনি পাসপোর্টটি নিয়েছিলেন, তিনি ইংরেজী জানতেন না। তোমার ভিসা চেক করেছি। ঠিক আছে। তোমাকে বিরক্ত করার জন্য আমরা দুঃখিত।’

২০০০ সালে মিলানো শহরে বৃষ্টিভেজা দিনে আমি।

বুঝতে পারলাম। বাংলাদেশি পাসপোর্ট মানে ঘোরতর সন্দেহ। ফেরার পথেও (রোম থেকে প্যারিস ফিরছিলাম) ইউরো ট্রেনে ৮/৯জন বাংলাদেশি যুবকের সঙ্গে পরিচয় হলো। তারা ফ্রান্স-পর্তুগালসহ বিভিন্ন দেশে থাকেন। ইতালী ‘বৈধতা’ দেবে জেনে তারা গিয়েছিলেন ইতালী। তারা ইতালীতে বৈধতা লাভের আবেদনপত্র জমা দিয়ে নিজ নিজ গন্তব্যে ফিরছিলেন। তাদের একজন আমাকে জানালো-ইউরো ট্রেনে টিটি (চেকার) এলে বুকের উপর পাসপোর্ট (থাকলে)সহ টিকেট রেখে ঘুমের অভিনয় করে সীটে শুয়ে থাকতে। টিটি ঘুমন্ত যাত্রীদের বিরক্ত করে না। টিটি এলো ওরা ঝটপট শুয়ে পড়লো। আমি ওদের বলিনি যে, আমি ট্যুরিষ্ট। আমিও ওদের মতো শুয়ে পড়লাম। ঠিকই-টিটি আমাদের দেখে না জাগিয়ে চলে গেল। টিটি চলে যেতেই সকলে উঠে বসলাম। আমরা হাসতে লাগলাম। এরপর ডাংকি (সীমান্ত অতিক্রম করা) নিয়ে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে গল্প শুনতে লাগলাম। প্যারিসে নেমে যে যার পথে, বিদায়!