যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ফাস্টলেডি হিলারী ক্লিনটনের সাক্ষাতকার গ্রহণ করার সুযোগ পেয়েছিলাম ২০০৬ সালে। ওই সময়ে তিনি নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্য থেকে সিনেট নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। আমি তখন যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রথম বাংলাদেশি মালিকানাধীন স্যাটালাইট টিভি এসটিভি ইউএস-এর প্রধান বার্তা সম্পাদক। প্রতিদিন দু’বেলা সংবাদ পরিবেশিত হয় নিউইয়র্কস্থ স্টুডিও থেকে। হিলারী ক্লিনটন নির্বাচনী প্রচারণায় এসেছিলেন কুইন্সের রিগোপার্ক এলাকায় লেফার সিটি ভবনে। খবর পেয়ে ক্যামেরা পার্সনকে নিয়ে হাজির হলাম ঐ স্থানে। একটি মিলনায়তনে বৈঠক চলছিল। আমি বাইরে অপেক্ষা করছিলাম। হিলারী মিটিং শেষ করে বের হতেই-তাঁর সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করলাম। তাঁকে বলেছিলাম-বাংলাদেশের কথা। হিলারী ক্লিনটনের পিএস বাধা দিয়ে পারলেন না। হিলারীকে বললাম- বাংলাদেশের একটি স্যাটালাইট টিভি চালু হয়েছে নিউইয়র্ক থেকে। যদি একটু শুভেচ্ছা জানাতেন। রাজী হলেন। দাঁড়ালেন ক্যামেরার সামনে। তিনি বাংলাদেশি-আমেরিকানদের শুভেচ্ছা জানানোর সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে মার্কিন নির্বাচন ও নির্বাচনে কী হতে পাওে, জয়লাভ করলে কী করবে ইত্যাদি প্রশ্ন একের পর এক করতে লাগলাম। তিনি জবাব দিতে লাগলেন। এই আকস্মিক সাক্ষাৎকাওে বিশেষ ভূমিকা ও মধ্যস্থতা করেছিলেন নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক পরিচয় পত্রিকার সম্পাদক নাজমুল আহসান। সেদিন হিলারী ক্লিনটনের সাক্ষাতকারটি এসটিভি ইউএস-এ লিড নিউজ করে দিই। ঢাকা’র একাধিক জাতীয় দৈনিকেও তাঁর সাক্ষাতকার প্রকাশিত হয়। অনেক সাংবাদিক আমাকে ঢাকা থেকে টেলিফোন করে এমন সাক্ষাতকার নেয়ার ঘটনায় অভিনন্দন জানান।
- 1+718-414-3662
- darpanus@gmail.com